বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে উডল্যান্ড হসপিটাল দেখতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে বুদ্ধদেবের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে।


চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,শরীরে জমে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা ৮৮ থেকে বেড়ে ১৩১ হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থা হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যে কারণে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন শুরু করতে হয়।পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তৈরি হয়েছে।এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সরোজ মন্ডল।



প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে দেখতে এদিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ও বিমান বসু । সূর্যকান্ত বাবু পরে সাংবাদিকদের জানান, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল। চিকিৎসকেরা স্বাধীনভাবে যা করার করবেন। বিমান বসু জানিয়েছেন বাইরে থেকে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভিতরে যায়নি এর আগে ফিরোজ হাকিম ও সুজন চক্রবর্তী ও হাসপাতালে গিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'ডাক্তারের চেষ্টা করছেন। আমরা ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। সকলে উনার পরিবারের পাশে আছে। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এখনো আমরা ওনাকে সম্মান করি। তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন এটাই আমাদের সকলের কাম্য। আমরা সবাই আছি পরিবারের পাশে।। '



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বুদ্ধদেবের সুস্থতা কামনা করে টুইট করেছেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর পরে টুইট করেন।


বুদ্ধদেব বাবুর কোরনা টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। এমনকি এখনও পর্যন্ত তার হার্টবিট এবং পেশা স্বাভাবিক আছে কোন যন্ত্রের সাপোর্ট ছাড়াই। বাকি সব রকম পরীক্ষা করে দেখেছেন চিকিৎসকরা। অবস্থা স্থিতিশীল হলে ফুসফুসে সিটি স্ক্যান করা হবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বুদ্ধবাবু "ল্যাকুনা ইনফ্যাক্ট"নামক অসুখে আক্রান্ত। এটি একটি বিশেষ ধরনের স্ট্রোক। এইচডি ফুলের রক্তক্ষরণ হয় না। এক্ষেত্রে রক্ত কমে যাওয়ায় মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে কোষের মৃত্যু ঘটে। সিটি স্ক্যানে অনেক সময় এই রোগ ধরা পড়ে না। যার ফলে সামগ্রিকভাবে দুশ্চিন্তায় আছে সকলের।



বুধবার সকাল থেকে শ্বাসকষ্ট সমস্যা বলেছিল বুদ্ধবাবুর।যদিও দীর্ঘদিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সিওপিডি থাকায় বাড়িতেই অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অসুস্থতা বাড়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে যাওয়ায় ঘটে বিপত্তি। চিকিৎসকরা তাকে বাড়ি রাখার কোনো ঝুঁকি নেননি । তবে শেষমেষ বুদ্ধবাবুর আরোগ্য কামনা করি। সকলের মাঝে বুদ্ধবাবু যেন একটি স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।




আপনার মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন